আচার ব্যাবহারের বাংলা হাদিশ সমুহ।


বিসিমললাহহির রাহমানির রাহিম। আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সবাই ভালো আছেন । আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে এলাম বাংলা আচার ব্যাবহার এর কিছু সহীহ বুখারি শরীফের হাদিস। আশা করি আপনার বাস্তব জীবনে একটু হলেও উপকারে আসবে ....






''''" মূসা’দ্দাদ (রহঃ) আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যাক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞাসা করলো: আমি কি জিহাদে যাব? তিনি বলেনঃ তোমার কি পিতা-মাতা আছে? সে বলল হাঁ। তিনি বললেনঃ তা হলে তাদের (সেবার) মাঝে জিহাদ করো।



""" স্বাদ ইবনু হাফস মুগীরা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা-আলা তোমাদের উপর হারাম করেছেন, মা-বাপের নাফরমানী করা, প্রাপকের প্রাপ্য আটক রাখা, যে জিনিস গ্রহন করা তোমাদের জন্য ঠিক নয় তা তলব করা এবং কন্যা সন্তানকে জীবিত কবর দেওয়া। আর তিনি তোমাদের জনা অপছন্দ করেছেন গল্প-গুজব করা, অপ্রয়োজনীয় প্রশ্ন করা ও সম্পদ নষ্ট করা।


"""" ইসহাক (রহঃ) আবূ বাকরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি কি তোমাদের সবচেয়ে বড় গুনাহ সম্পর্কে সতর্ক করব না? আমরা বললামঃ অবশ্যই সতর্ক করবেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ! বললেনঃ আল্লাহর সঙ্গে শরীক করা, পিতা-মাতার নাফরমানী করা। এ কথা বলার সময় তিনি হেলান দিয়ে বসাছিলেন। এরপর (সোজা হয়ে) বসলেন এবং বললেনঃ মিথ্যা বলা ও মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া, দুবার করে বললেন এবং ক্রমাগত এ কথাই বলে চললেন। এমনকি আমি বললাম- তিনি মনে হয় থামবেন না।


"""" মুহাম্মদ ইবনু ওয়ালীদ (রহঃ) আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবীরা গুনার কথা উল্লেখ করলেন অথবা তাকে কবীরা গুনাহ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হল। তখন তিনি বললেনঃ আল্লাহর সঙ্গে শরীক করা। মানুষ হত্যা করা ও মা-বাপের নাফরমানী করা। তারপর তিনি বললেনঃ আমি কি তোমাদের কবীরা গুনাহর অন্যতম গুনাহ সম্পর্কে সতর্ক করবো না? পরে বললেনঃ মিথ্যা কথা বলা। অথবা বলেছেনঃ মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া। শুবা (রহঃ) বলেনঃ আমার প্রবল ধারণা হয় যে, তিনি বলেছেনঃ মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া।


"""" হুমায়দী (রহঃ) আবূ বকর (রা-)-এর কন্যা আসমা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। বলেন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর যুগে আমার অমুসলিম মা আমার কাছে এলেন। আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট জিজ্ঞাসা করলামঃ তার সঙ্গে ভাল ব্যবহার করবো কি না? তিনি বললেনঃ হা। ইবনু উয়ায়না (রহঃ) বলেন, এ ঘটনা প্রসঙ্গেই আল্লাহ তাআলা নাযিল করেন: যারা দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের সাথে যুদ্ধ করে না তাদের সাথে ভাল ব্যবহার করতে আল্লাহ তোমাদেরকে নিষেধ করছেন না।


"""" ইয়াহইয়া (রহঃ) ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, আবূ সুফিয়ান (রাঃ) তাকে জানিয়েছেন যে, (রোম সমরাট) হিরাক্লিয়াস তাকে ডেকে পাঠায়। আবূ সুফিয়ান (রহঃ) বললো যে, তিনি অর্থাৎ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতে যাকাত দিতে, পবিত্র থাকতে এবং রক্তের সম্পর্ক অক্ষুণ্ণ রাখতে আদেশ করেন।


"""আবূল ওয়ালীদ (রহঃ) আবূ আইউব আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, এক ব্যাক্তি বললেনঃ ইয়া রাসুলুল্লাহ! আমাকে এমন একটি আমল শিখিয়ে দিন, যা আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে।


"""" ইয়াহইয়া ইবনু বুকায়র (রহঃ) জুবায়র ইবনু মুতইম (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছেনঃ আত্নীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না।


"""" ইবরাহীম ইবনু মুনযির (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি: যে লোক তার রিযক প্রাপ্তি করতে এবং আয়ু বৃদ্ধি করতে চায়, সে যেন তার আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করে।


"""" ইয়াহইয়া ইবনু বুকায়র (রহঃ) আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যাক্তি চায় যে, তার রিযক প্রাপ্ত হোক এবং আয়ু বৃদ্ধি হোক; সে যেন তার আত্নীয়তার সাম্পর্ক অক্ষুন্ন রাখে।


""" খালিদ ইবনু মাখলাদ (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: রক্ত সম্পর্কের মূল রহমান। আল্লাহ তাআলা বলেছেনঃ যে তোমার সাথে সুসম্পর্ক রাখবে, আমি তার সাথে সুসম্পর্ক রাখবো। আর যে তোমার থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করবে, আমিও তার থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করবো।


"""" সাঈদ ইবনু আবূ মারইয়াম (রহঃ) আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আত্মীয়তার হক রাহমানের মূল। যে তা সঞ্জীবিত রাখবে, আমি তাকে সঞ্জীবিত রাখেবো। আর যে তা ছিন্ন করবে! আমি তাকে (আমার থেকে) ছিন্ন করবো।


""" মুহাম্মাদ ইবনু কাসীর (রহঃ) আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাবী সুফিয়ান বলেন, আমরা এ হাদীস মারফুরুপে বর্ণনা করেননি। অবশ্য হাসান ইবনু আমর) ও ফিতর (রহঃ) একে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে মারফূ হিসেবে বর্ননা করেছেন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ প্রতিদানকারী আত্মীয়তার হক আদায়কারী নয়। বরং আত্মীয়তার হক আদায়কারী সে ব্যাক্তি, যে আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার পরও তা বজায় রাখে।


"""" আবূল ওয়ালীদ (রহঃ) আবূ কাতাদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একবার নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সামনে এলেন। তখন উমামা বিনত আবূল আস তার কাঁধের উপর ছিলেন। এমতাবস্থায় নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত (নামায/নামাজ) দাড়ালেনা যখন তিনি রুকুতে যেতেন, তাকে নামিয়ে রাখতেন, আবার যখন উঠে দাড়াতেন! তখন তাকেও উঠিয়ে নিতেন।


"""" আবূল ইয়ামান (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার হাসান ইবনু আলীকে চুম্বন করেন। ঐ সময় তার নিকট আকরা ইবনু হাবিস তামীমী (রাঃ) বসা ছিলেন। আকরা ইবনু হাবিস (রাঃ) বললেনঃ আমার দশ টি পুত্র আছে-আমি তাদের কাউকেই কোন দিন চুম্বন করিনি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার দিকে তাকালেন, তারপর বললেনঃ যে দয়া করে না তাকে দয়া করা হয় না।


""" মুহম্মদ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক বেদুঈন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বললো। আপনারা শিশুদের চুম্বন করে থাকেন, কিন্তু আমরা ওদের চুম্বন করি না। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আল্লাহ যদি তোমার অন্তর থেকে রহমত উঠিয়ে নেন, তবে আমি কি তোমার উপর (তা ফিরিয়ে দেওয়ার) অধিকার রাখি?


"""" হাকাম ইবনু নাফি- (হা) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্নিত। তিনি বলেন আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছিঃ আল্লাহ রহমত একশ ভাগে ভাগ করেছেন। তার মধ্যে নিরানব্বই ভাগ তিনি নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন। আর একভাগ নাযিল করেছেন। ঐ একভাগের কারনেই সৃষ্ট জগত একে অন্যের উপর দয়া করে। এমনকি ঘোড়া তার বাচ্চার উপর থেকে পা তুলে নেয় এ ভয়ে যে, সে ব্যথা পাবে।


""" মুহাম্মদ ইবনু মূসান্না (রহঃ) আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি শিশুকে নিজের কোলে নিলেন। তারপর তাকে তাহনীক, করালেন। শিশুটি তার কোলে পেশাব করে দিল। তখন তিনি পানি আনতে বললেন এবং তা (পেশাবের স্থানে) ঢেলে দিলেন।


"""" আবদুল্লাহ ইবনু আবদূস ওহাব (রহঃ) সাহল ইবনু স্বাদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি ও ইয়াতীমের তত্বাবধানকারী জান্নাতে এভাবে (পাশাপাশি) থাকবো। এ কথা বলার সময় তিনি তর্জনী ও মধামা আঙ্গুল মিলিয়ে ইশারা করে দেখান।


"""" আবদুল্লাহ ইবনু মাসালামা (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বললেনঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বিধবা ও মিসকীনদের অভাব দুর করার চেষ্টারত ব্যাক্তি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদকারীর তুল্য। ইমাম বুখারী (রহঃ) বলেনঃ) আমার ধারণা যে কানাবী (বুখারীর উস্তাদ আবদুল্লাহ) সন্দেহ প্রকাশ করেছেনঃ সে সারারাত দণ্ডায়মান ব্যাক্তির ন্যায় যে (ইবাদতে) ক্লান্ত হয় না এবং এমন সিয়াম পালনকারীর ন্যায় যে সিয়াম ভাঙ্গে না।


"""" আবূ নুঁআয়ম (রাঃ) নুমান ইবনু বশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তুমি মু-মিনদের পারস্পরিক দয়া ভালবাসা ও সহানূভূতি প্রদর্শনে একটি দেহের ন্যায় দেখতে পাবে। যখন দেহের একটি অঙ্গ রোগে আক্রান্ত হয় তখন শরীরের সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ রাত জাগে এবং জ্বরে অংশ গ্রহণ করে।


"""" আবূল ওয়ালীদ (রহঃ) আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন-নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন মুসলমান যদি কোন গাছ লাগায়, তা থেকে কোন মানুষ বা জানোয়ার যদি কিছু খায় তবে তা তার জন্য সাদাকা হিসেবে গণ্য হবে।


"""" উমর যেন হাফস (রহঃ) জারীর ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: যে ব্যাক্তি (সৃষ্টির প্রতি) দয়া করে না, (স্রষ্টার পক্ষ থেকে) তার প্রতি দয়া করা হবে না


"""" ইসমাঈল ইবনু আবূ উয়াইস (রহঃ) আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন যে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমাকে জিবরাঈল (আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সব সময় প্রতিবেশী সম্পর্কে অসীয়ত করে থাকেন। এমনকি, আমার মনে হয়, তিনি প্রতিবেশীকে ওয়ারিস বানিয়ে দিবেন।


""" মুহাম্মদ ইবনু মিনহাল (রহঃ) ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জিবরাঈল (আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বরাবরই আমাকে প্রতিবেশী সম্পর্কে অসীয়ত করে থাকেন। এমনকি আমার মনে হয় যে অচিরেই তিনি প্রতিবেশীকে ওয়ারিস বানিয়ে দিবেন।


""" আসিম ইবনু আলী (রহঃ) আবূ সুরাইয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা বলছিলেনঃ আল্লাহর কসম! সে ব্যাক্তি মুমিন নয়। আল্লাহর কসম! সে লোক মুমিন নয়! আল্লাহর কসম। সে ব্যাক্তি মুঁমিন নয়। জিজ্ঞাসা করা হলঃ ইয়া রাসুলুল্লাহ কে সে লোক? তিনি বললেনঃ যে লোকের প্রতিবেশী তার অনিষ্ট থেকে নিরাপদ থাকে না।


"""" আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেনঃ হে মুসলিম মহিলাগণ। কোন প্রতিবেশী নারী যেন তার অপর প্রতিবেশী নারীকে (তার পাঠানো হাদিয়া ফেরত দিয়ে) হেয় প্রতিপন্ন না করে। যদিও তা বকরীর পায়ের ক্ষুর হোক না কেন।


""" কুতায়বা ইবনু সাঈদ (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্নিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যাক্তি আল্লাহতে ও আখিরাতের দিনে ঈমান রাখে, সে যেন তার মেহমানকে সম্মান করে। যে আল্লাহ ও শেষ দিনে বিশ্বাস রাখে, সে যেন তার প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেয়। যে লোক আল্লাহ ও শেষ দিনে বিশ্বাস করে, সে যেন ভাল কথা বলে- অথবা চুপ করে থাকে।


""""আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা পরস্পর বিদ্বেষ ভাবাপন্ন হয়ো না, হিংসা করো না এবং একে অপর থেকে বিচ্ছিন্ন থেকেো না। আর তোমরা সবাই আল্লাহর বান্দা ও পরস্পর ভাই-ভাই হয়ে থেকো। কোন মুসলমানের জন্য জায়েয নয় যে, সে তার ভাই থেকে তিন দিনের বেশী সম্পর্ক ছিন্ন করে থাকবে।


"""" আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) আবূ আইউব আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন ব্যাক্তির জন্য হালাল নয় যে সে তার ভাই-এর সাথে তিন দিনের বেশী এমনভাবে সম্পর্ক ছিন্ন রাখবে যে, দু-জনে সাক্ষাৎ হলেও একজন এদিকে আর অপর জন সে দিকে মুখ ফিরিয়ে নেবে। তাদের মধ্যে যে সর্ব প্রথম সালামের সূচনা করবে, সেই উত্তম ব্যাক্তি।


"""" মুহাম্মদ (রহঃ) আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন (একদিন) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমি তোমার রাগ ও খূশী উভয়ই বুঝতে পারি। আয়িশা (রাঃ) বলেন, আমি জিজ্ঞাসা করলাম: আপনি তা কি ভাবে বুঝে নেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ? তিনি বললেনঃ যখন তুমি খুশী থাক, তখন তুমি বলোঃ হাঁ, মুহাম্মদের রবের কসম! আর যখন তুমি রাগান্বিত হও, তখন তুমি বলে থাকোঃ না, ইবরাহীমের রবের কসম! আয়িশা (রাঃ) বললেন, আমি বললাম হাঁ। আমিতো শুধু আপনার নামটি বর্জন করি।


"""ইবরাহীম ইবনু মূসা ও লায়স (রহঃ) আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমার বুঝ হওয়ার পর থেকেই আমি আমার বাবা-মাকে ইসলামের অন্তর্ভুক্তই পেয়েছি। আমাদের উপর এমন কোন দিন অতিবাহিত হতো না, যে দিনের উভয় প্রান্তে সকালে ও বিকেলে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিকট আসতেন না। একদা ঠিক দুপূর বেলায় আমরা আবূ বকর (রাঃ)-এর কক্ষে বসা ছিলাম। একজন বলে উঠলেনঃ এই সে রাসুল! তিনি এমন সময় এসেছেন, যে সময় তিনি আমাদের এখানে আসেন না। আবূ বকর (রাঃ) বললেনঃ তাকে কোন গুরত্বপূর্ন বিষয়ই এ মুহর্তে নিয়ে এসেছে। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আমাকে মক্কা থেকে বের হয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।


""" মুহাম্মদ ইবনু সালাম (রহঃ) আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্নিত যে, একবার নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক আনসার পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলেন এরপর তিনি তাদের সেখানে খাবার খেলেন। এরপর যখন তিনি বেরিয়ে আসার ইচ্ছা করলেন, তখন ঘরের মধ্যে এক জায়গায় (সালাত (নামায/নামাজ)-এর জন্য) বিছানা করতে নির্দেশ দিলেন। তখন তার জন্য পানি ছিটিয়ে একখানা চাটাই বিছিয়ে দেয়া হল। তারপর তিনি এর উপর সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলেন এবং তাদের জন্য দু’আ করলেন।


""" আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মাদ (রহঃ) ইয়াহইয়া ইবনু আবূ ইসহাক (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, সালিম ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) আমাকে জিজ্ঞাসা করলেনঃ ইস্তাবরাক কী? আমি বললামঃ তা মোটা ও সুন্দর রেশমী বস্ত্র। তিনি বললেনঃ আমি আবদুল্লাহ ইবনু উমরকে বলতে শুনেছি যে, উমর (রাঃ) এক ব্যাক্তির গায়ে একজোড়া মোটা রেশমী বস্ত্র দেখলেন। তখন তিনি সেটা নিয়ে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর খেদমতে এসে বললেনঃ ইয়া রাসুলুল্লাহ আপনি এটি কিনে নিন। যখন আপনার নিকট কোন প্রতিনিধি দল আসবে, (তাদের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য) তখন আপনি এটি পরবেন। তিনি বললেনঃ রেশমী বস্ত্র একমাত্র ঐ ব্যাক্তই পরবে, যার (আখিরাতে) কোন হিসসা নেই। এরপর বেশ কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উমর (রাঃ)-এর নিকট এরুপ একজোড়া কাপড় পাঠালেন। তখন তিনি সেটি নিয়ে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে এসে বললেনঃ আপনি এটা আমার নিকট পাঠালেন, অথচ নিজেই এ জাতীয় বস্ত্র সম্পর্কে যা বলার তা বলেছিলেন। তিনি বললেনঃ আমি তো এটা একমাত্র এ জন্য তোমার নিকট পাঠিয়েছি, যেন তুমি এর বিনিময়ে কোন মাল গ্রহন করতে পার। এ হাদীসের প্রেক্ষিতে ইবনু উমর (রাঃ) কারুকার্য খচিত কাপড় পড়তে অপছন্দ করতেন। ৫৬৫৩ মূসা’দ্দাদ (রহঃ) আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। আবদুর রহমান ইবনু আওফ (রাঃ) আমাদের নিকট এলে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর ও সা-দ ইবনু রাবী-এর মধ্যে ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক স্থাপন করে দেন। তারপর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার বিয়ের পর তাকে বললেনঃ তুমি ওয়ালিমা করো অন্তত একটি বকরী দিয়ে হলেও।


""""মুহাম্মদ ইবনু সাববাহ (রহঃ) আসিম (রহঃ) থেকে বর্নিত যে, আমি আনাস ইবনু মাসিক (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম। আপনি জানেন কি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ইসলামে প্রতিশ্রুতির সম্পর্ক নেই? তিনি বললেনঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তো আমার ঘরে বসে কুরায়শ আর আনসারদের মধ্যে পরস্পর প্রতিশ্রুতির বন্ধন স্থাপন করেন।


""" হিব্বান ইবনু মূসা (রহঃ) আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্নিত যে, রিফাআ কুরাবী (রাঃ) তাঁর স্ত্রীকে তালাক দেন এবং অকাট্য তালাক দেন। এরপর আবদুর রহমান ইবনু যুবায়র তাকে বিয়ে করেন। পরে তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে এসে বলেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ তিনি রিফাআর কাছে ছিলেন এবং রিফাআ তাকে শেষ তিন তালাক দিয়ে দেন এবং তাঁকে আবূদর রহমান ইবনু যুবায়র বিয়ে করেন। আল্লাহর কসমা ইয়া রাসুলুল্লাহ! এর কাছে তো শুধূ এ কাপড়ের মত রঁয়েছে। (একথা বলে) তিনি তাঁর ওড়নার আচল ধরে উঠালেন। রাবী বলেনঃ তখন আবূ বকর (রাঃ) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট বসা ছিলেন এবং সাঈদ ইবনু আসও ভেতরে প্রবেশ করার অনুমতি লাভের অপেক্ষায় হুজরার দরজার কাছে বসা ছিলেন। তখন স্বাদ (রাঃ) আবূ বকর (রাঃ) কে উচ্চস্বরে ডেকে বললেনঃ হে আবূ বকর আপনি এই মহিলাকে কেন ধমক দিচ্ছেন না, যে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সামনে (প্রকাশ্যে) এসব কথাবার্তা বলছে তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কেবল মুচকি হাসছিলেন। তারপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ সম্ভবত তুমি আবার রিফাআ (রাঃ)-এর নিকট ফিরে যেতে চাও। তা হবে না। যতক্ষন না তুমি তার এবং সে তোমার মিলন স্বাদ গ্রহন করবে।


""""মুহাম্মদ ইবনু মূসান্না (রহঃ) যায়নাব বিনত উম্মে সালামা (রহঃ) থেকে বর্নিত যে, একবার উম্মে সুলায়ম (রাঃ) বলেনঃ ইয়া রাসুলুল্লাহ! আল্লাহ তো সত্য কথা বলতে লজ্জা করেন না। মেয়েলোকের স্বপ্নদোষ হলে তাদেরও কি গোসল করতে হবে? তিনি বললেনঃ হ্যা। যদি সে পানি (বীর্য) দেখতে পায়। তখন উম্মে সুলায়মা (রাঃ) হেসে দিলেন এবং জিজ্ঞাসা করলেন মেয়ে লোকেরও কি স্বপ্নদোষ হতে পারে? নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তা না হলে, সন্তানের মধ্যে সা’দৃশ্য হয় কেমন করে?


""""ইয়াহইয়া ইবনু সুলায়মান (রহঃ) আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে এমনভাবে মুখভরে হাসতে দেখিনি যে, তার আলা জিহ্বা দেখা যেত। তিনি তো শুধূ মুচকি হাসতেন।


""""উসমান ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সত্য নেকীর দিকে পরিচালিত করে আর নেকী জান্নাতের নিকে পৌছায়। আর মানুষ সত্যের উপর প্রতিষ্টিত থেকে অবশেষে সিদ্দীক-এর দরজা লাভ করে। আর মিথ্যা মানুষকে পাপের দিকে নিয়ে যায়। পাপ তাকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যায়। আর মানূষ মিথ্যা কথা বলতে বলতে অবশেষে আল্লাহর কাছে মহামিথ্যাবাদী রুপে সাব্যস্ত হয়ে যায়।


"""ইবনু সালাম (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুনাফিকের চিহ্ন তিনটি: যখন সে কথা বলে, তখন মিথ্যা বলে, আর যখন সে ওয়াদা করে, তখন তা ভঙ্গ করে আর যখন তার কাছে আমানত রাখা হয় তখন সে তাতে খিয়ানত করে।


""" মূসা ইবনু ইসমাঈল (রহঃ) সাহল ইবনু জুনদুব (রাঃ) থেকে বর্নিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি আজ রাতে (স্বপ্নে)! দু-জন লোককে দেখলাম। তারা বললোঃ আপনি যে লোকটির গাল চিরে ফেলতে দেখলেন, সে বড় মিথ্যাবাদী। সে এমন মিথ্যা বলত যে দুনিয়ার (লোক) আনাচে কানাচে তা ছড়িয়ে দিত। ফলে, কিয়ামত পর্যন্ত তার সাথে এরুপ ব্যবহার হতে থাকবে।


""" ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) হুযায়ফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, মানুষের মধ্যে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সঙ্গে চাল-চলনে, রীতি-নীতিতে ও স্বভাব-চরিত্রে, যার সবচেয়ে বেশী সামঞ্জস্য বিদ্যমান, তিনি হলেন ইবনু উম্মে আবদ। যখন তিনি নিজ ঘর থেকে বের হন, তখন থেকে ঘরে ফিরে আসা পর্যন্ত এ সামঞ্জস্য দেখা যায়। তবে তিনি একাকী নিজ গৃহে কিরুপ ব্যবহার করেন, তা আমরা জানিনা। ৫৬৬৮ আবূল ওয়ালীদ (রহঃ) আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ উত্তম বানী হলো আল্লাহর কিতাব। আর সবচে উত্তম চরিত্র হল মুহাম্মদ -এর চরিত্র।


"""" মূসা’দ্দাদ (রহঃ) আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কষ্টের কথা শোনার পর আল্লাহ তা আমার চেয়ে অধিক ধৈর্যধারনকারী কেউ বা কোন কিছুই নেই। লোকেরা তার জন্য সন্তান সাব্যস্ত করে; এরপরও তিনি তাদের বিপদ মুক্ত রাখেন এবং রিবিক দান করেন।


""" উম্মুল ইবনু হাফস (রহঃ) আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গনীমতের মাল বণ্টন করলেন। তখন এক আনসারী ব্যাক্তি বললঃ আল্লাহর কসম এ বণ্টনে আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করা হয়নি। তখন আমি বললাম: জেনে রেখো, আমি নিশ্চয়ই নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে এ কথা বলব। সুতরাং আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে আসলাম। তখন তিনি তার সাহাবীগণের মধ্যে ছিলেন। এজন্য তার কাছে কথাটা চুপেচুপে বললাম। একথাটি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে বড়ই কষ্টদায়ক হল, তার চেহারার রং বদলে গেল এবং তিনি এত রাগাম্বিত হলেন যে, আমি ভাবলাম, হায়! যদি আমি তার কাছে এ খবর না দিতাম, তবে কত ভাল হত। এরপর বললেনঃ মূসা (আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে নিশ্চই এর চেয়েও বেশী কষ্ট দেয়া হয়েছে। তাতেও তিনি ধৈর্যধারণ করেছেন।


""" উম্মে ইবনু হাফয (রহঃ) আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একবার নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে কোন কাজ করলেন এবং অন্যদের তা করার অনুমতি দিলেন। তথাপি একদল লোক তা থেকে বিরত রইল। এ খবর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট পৌছলে তিনি ভাষণ দিলেন এবং আল্লাহর প্রশংসার পর বললেন কিছু লোকের কি হয়েছে। তারা এমন কাজ থেকে বিরত থাকতে চায়, যা আমি নিজে করছি। আল্লাহর কসম! আমি আল্লাহর সম্পর্কে তাদের চেয়ে অধিক জ্ঞাত এবং আমি তাকে তাদের চাইতে অনেক বেশী ভয় করি।


"""" আবদান (রহঃ) আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ পর্দার ভেতরে কুমারীদের চেয়েও নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেশী লাজুক ছিলেন। যখন তিনি তার কাছে অপছন্দনীয় কিছু দেখতেন, তখন আমরা তার চেহারাতেই এর আভাস পেয়ে যেতাম।


৫৬৭৩ মুহাম্মাদ ও আহমাদ ইবনু সাঈদ (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: যখন কোন ব্যাক্তি তার মুসলমান ভাইকে ‘হে কাফির’ বলে ডাকে, তখন তা তাদের দু-জনের কোন একজনের উপর বর্তায়।


""" ইসমাঈল (রহঃ) আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে কেউ তার ভাইকে কাফির বলবে, তাদের দু-জনের একজনের উপর তা বর্তাবে।


""" মূসা ইবনু ইসমাঈল (রহঃ) সাবিত ইবনু যাহহাক (রাঃ) থেকে বর্নিত যে- নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে কেউ ইসলাম ধর্ম ছাড়া অন্য কোন ধর্মের মিথ্যা কসম খায়, সে যা বলে তাই হবে। আর যে বস্তু দিয়ে কেউ আত্নহত্যা করবে, জাহান্নামের আগুনে তাকে সে বস্তু দিয়েই আযাব দেওয়া হবে। ঈমানদারকে লানত করা! তাকে হত্যা করার সমান। আর যে কেউ কোন ঈসানদারকে কুফরীর অপবাদ দিবে, তাও তাকে হত্যা করার সমান হবে।


""" মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্নিত যে মুঁআয ইবনু জাবাল (রাঃ) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সাথে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতেন। পূনরায় তিনি নিজ কাওমের নিকট এসে তাদের তিনি সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতেন। একবার তিনি তাদের নিয়ে সালাত (নামায/নামাজ) সুরা বাকারা পড়লেন। তখন এক ব্যাক্তি; সালাত (নামায/নামাজ) সংক্ষেপ করতে চাইল। সুতরাং-সে (আলাদা হয়ে) সংক্ষেপে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলেন। এ খবর মু’আয (রাঃ)-এর কাছ পৌছলে তিনি বললেনঃ সে মুনাফিক! লোকটীর কাছে এ খবর পৌছলে তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর খেদমতে এসে বললঃ ইইয়া রাসুলুল্লাহ আমরা এমন এক কাওমের লোক, যারা নিজের হাতে কাজ করি, আর নিজের উট দিয়ে সেঁচের কাজ করি। মুআয (রাঃ) গত রাত্রে সূরা বাকারা দিয়ে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতে আরম্ভ করলেন, তখন আমি সংক্ষেপে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করে নিলাম। এতে মু’আয (রাঃ) বললেন যে, আমি মুনাফিক। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হে মু’আয। তুমি কি (লোকদের) দ্বীনের প্রতি বিতৃঞ্চ করতে চাও? একথাটি তিনি তিন বার বললেন। পরে তিনি তাকে বললেনঃ তুমি ওয়াশ শামসি ওয়াদ দু-হা আর সাব্বিহিসমা রাব্বিকাল আলা এবং এর অনুরুপ ছোট সূরা পড়বে।


"""" ইসহাক (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যদি কসম খায় এবং লাত ও উযযার কসম করে, তবে সে যেন (সাথে সাথেই) লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলে। আর যদি কেউ তার সাথীকে বলে, এসো আমরা জুয়া খেলি; তবে সে যেন (কোন কিছু) সাদাকা করে।


""" কুতায়বা (রহঃ) ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি উমর ইবনু খাত্তাব (রাঃ) কে একদিন আরোহীর মাঝে এমন সময় পেলেন, যখন তিনি তার পিতার নামে কসম খাচ্ছিলেন। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উচ্চস্বরে তাদের বললেনঃ জেনে রাখ! আল্লাহ তোমাদের নিজের পিতার নামে কসম খেতে নিষেধ করেছেন। যদি কাউকে কসম খেতেই হয়, তবে সে যেন আল্লাহর নামেই কসম খায়, অন্যথায় সে যেন চুপ থাকে। tag+

bangla hadis, আচার ব্যাবহারের হারোর বাংলাহাদিস,ভালো ব্যাবহারের নিয়মাবলী, আচার ব্যাবহারের হাদিসসমূহ,বড়দের সাথে আচরনের নিয়মগুলু, বুখারি শরিফের হাদিস সমূহ, বাংলা হাদিস, আরবি হাদিস,


EmoticonEmoticon