৩০ দিনেই ফর্সা হওয়ার প্রাকৃতিক নিয়মাবলী / উপায়য় গুলো।

 বিসমিল্লাহহির রাহমানি্ রাহিম।
বন্ধুরা সবাই কেমন আছো আশা করি অনেক ভালো আছো। বন্ধুরা পৃথিবীর সকল মানুষই সুন্দরের পূজারি। তাই মানুষ তার চেহারাকে উজ্জল করার জন্য ব্যাবহার করে থাকে বিভিন্ন ধরনের ক্রিম। আর সাময়িক সুন্দরযের জন্য ব্যাবহার করে থাকে মেকাম।কিন্তু এই ব্যাবহারের ফলে আপনার ত্বকের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করছে। হচ্ছে চর্ম রোগ ও ত্বক ক্যানসারের মত রোগ। সুতরাং এই সব ব্যাবহার না করাই ভালো। এখন আপনারা বলবেন তাহলে যারা কালো থেকে ফর্সা হতে চায় তারা কি করবে..? তারা কি কোন চেশ্টায় করবে না ফুখ কে উজ্জল করতে..? হ্যা অবস্যই করবে তবে কোন আজে বাজে ক্রিম অথবা মেকাম দিয়ে নই সমপূর্ন প্রাকৃতিক উপায়ে। আসোন এবাব দেখে নিই কিবাবে প্রাকৃতিক উপায়ে ফর্সা হওয়া যায়।  








পেঁপে এবং ডিমের মাস্ক

প্রথমেই আপনাদের জানাবো পেপে আর ডিমের কার্যকারিতা সমর্পকে। আপনি দেখবেন পেঁপে আর ডিম একসঙ্গে ব্যবহার করলে ত্বকের রঙ ধীরে ধীরে ফর্সা হচ্ছে আর হালকা হবে। তার সঙ্গে আসছে একটা সুন্দর উজ্জ্বল ভাব। ডিমের প্রোটিন আপনার ত্বককে টানটান রাখবে। অার এর সঙ্গে দই যখন যোগ হবে তখন তা আপনার স্কিনকে ভিতর থেকে পরিষ্কার করবে।



★ যেবাবে ব্যাবহার করবেন। ★

প্রথমে ৩ চামচ পেপের রস,তারপর ২ চামচ দই, এরপর ৪ চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনিগার, ৩ চামচ আমন্ড অয়েল, গ্লিসারিন ও একটি ডিমের সাদা অংশ টুকু নিন । গ্লিসারিন আর ডিম ছাড়া বাকি সবকটি উপকরণ একটি পাত্রে নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। একটা ঘন পেস্ট মতো তৈরি হবে। সেটা এবার ফ্রিজে রেখে দিন ঘণ্টা দুয়েকের মতো। তারপর বের করে তাতে দিন গ্লিসারিন আর ডিমের সাদা অংশ। খুব ভালো করে মেশান। এবার এই পেস্ট মুখে মাখুন আর রেখে দিন প্রায় 20 থেকে 25 মিনিট। তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।



<< বেসন এবং যেকনো লেবুর রস >>

ত্বকের জন্য যে বেসন কতটুকু উপকারি সেটা আমরা সবাই জানি। আর লেবু খুব ভালোভাবে ত্বককে পরিষ্কার করে সেটাও কাররো অজানা থাকার কথা না। ।



★ যেবাবে ব্যাবহার করবেন। ★

আপনি ৩ চামচ বেসন নিন, তারপরে ২ চামচ লেবুর রস, ১ চামচ হলুদ গুঁড়া ও সামান্য গোলাপ জল নিয়ে নিন । সবকটি উপকরণ খুব ভালো করে একটি পাত্রে একসাথে মিশিয়ে নিন। তারপর তা মুখে মাখুন। মিশ্রণটা মুখে শুকোতে দিন। তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ভালো ধুয়ে নিন। এটা আপনি সপ্তাহে দুদিন করতে পারেন। হলুদ আপনার ত্বকে উজ্জ্বলতা বাড়াবে আর এর অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান কোনো রকম দাগ হতে দেবে না।আর কিছু দিন ব্যাবহারেই আপনি বুজে যাবেন এটা কতটুকু কার্যকরি।




মধু আর লেবুর  রসের প্যাক 

লেবুর রস মুখ পরিষ্কার করে এটা এর আগেও বলা হয়েছে। , ডিটক্সিফাই করে সেটা তো আমরা সবাই জানি। সঙ্গে মধু খুব সুন্দর ভাবে মুখের ময়েশ্চার ধরে রাখে সেটাও সবার জানা আছে । তাই এই মাস্ক কিন্তু খুব কার্যকরী ও উপকারি। ।



★ যেবাবে ব্যাবহার করবেন। ★

২ চামচ মধু ও ২ চামচ লেবুর রস নিন। দুটি উপকরণ মিশিয়ে মুখে মাখে দিন । তারপর তা রেখে দিতে হবে 20-25 মিনিট। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন এটা বাবহার করোন।




দুখ  ও লেবুর রসের প্যাক। 
ত্বককে দুধের মত ফর্সা করতে চাইলে দুধের বিকল্প কিছু নাই। এটি ত্বককে পরিষ্কার করে, কোমল রাখে।



★ যেবাবে ব্যাবহার করবেন।


প্রথমে 3 চামচ দুধ নিন, 2 চামচ লেবুর রস নেবেন, আর 1 চামচ মধু ও 1 হলুদ গুঁড়া নিন। একটি পাত্রে দুধ নিয়ে তাতে বাকি সকল উপকরণ ভালো ভাবে মিশ্রন করোন। তারপর এই প্যাক মুখে মাখুন। শুকোতে দিন আর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে কমপক্ষে এক দিন করে করুন।সবচেয়ে মজার বিষয় হলো এটি মেকামের মত সংগে সংগে কাজ করবে।



টমেটো ও মধুর প্যাক 


আপনার মুখে যদি কোন রকমের রোদের থেকে হওয়া পোড়া দাগ থাকে বা মুখ অতিরিক্ত কালো হতে শুরু করে, তবে এই টিপস টি আপনার জন্য। টমেটো এই দাগ খুব ভালোভাবে দূর করতে পারে।



★ যেবাবে ব্যাবহার করবেন। ★

একটি টমেটো ও 4 চামচ মধু নিন। একটি পাত্রে আগে টমেটো ভালোবাবে চটকে নিন। তার মধ্যে এবার মধু মিশিয়ে ভালো করে মিশ্রন করোন । এই প্যাক মুখে মেখে রেখে দিন 25 মিনিট মতো। তারপর গরম পানিতে ধুয়ে নিন। মুখ সঙ্গে সঙ্গেই তরতাজা লাগবে।



পোস্ট টি ভালো লাগলে কমেন্টে জানাবেন। আর শেয়ার করে অন্য বন্ধুদের জানাবেন যাতে তারা উপকার লাভ করতে পারে।  


EmoticonEmoticon